অংশীদারগণ

Bangladesh Open University (BOU)

বাংলাদেশে একমাত্র দূরশিক্ষা-নির্ভর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বিওইউ)। এটি একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, যা ওপেন অ্যান্ড ডিস্টেন্স লার্নিং পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরদের নিকট শিক্ষা পৌঁছে দেয়। বিওইউ তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আধুনিক প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, যেমনঃ ওয়েব রেডিও, ওয়েব টেলিভিশন, ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্স এবং বিওইউ টিউব। বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব স্ব-পাঠ্য উপকরণ ব্যবহার করে, পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত অধ্যয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে সামনাসামনি পাঠদানও নিশ্চিত করছে, যা শিক্ষার্থীর শেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করছে। বিওইউ ছয়টি একাডেমিক স্কুলের মাধ্যমে সার্টিফিকেট থেকে পিএইচডি পর্যন্ত শিক্ষা কর্মসূচী পরিচালনা করে। এছাড়া, যারা বিভিন্ন বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে প্রচলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পায় না, তাদের জন্য “উন্মুক্ত স্কুল” নামে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কর্মসূচি চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে। এর মধ্যে রয়েছেঃ আইন শৃত্থলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য বিশেষ কোর্স, এবং মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত পাঠক্রম।

ওয়েবসাইট ইউটিউব ফেসবুক লিঙ্কডইন
Bangladesh Agricultural University (BAU)

"১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইউ) দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে প্রায় ১২০০ একর মনোমুগ্ধকর এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ছয়টি অনুষদঃ কৃষি, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান, পশুপালন, ভেটেরিনারি মেডিসিন, মৎস্যবিজ্ঞান এবং কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি। এছাড়া এখানে পাঁচটি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউ রয়েছেঃ বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব এগ্রিবিজনেস ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, এবং ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটি। মোট ৫৪টি একাডেমিক বিভাগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। এটি স্মার্ট কৃষি, টেকসই উন্নয়ন ও বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা প্রসারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা, এবং নিখুঁত কৃষিপদ্ধতি সংযোজিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হলোঃ কৃষি শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন করা এবং দক্ষ কৃষিবিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষক তৈরী করা যারা দেশের কৃষি উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ শিক্ষক ও গবেষকগণ নিয়মিত বিভিন্ন গবেষণা ও শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রায় ৭,০০০ শিক্ষার্থী ও ৬০০ এর বেশি শিক্ষক নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রানবন্ত শিক্ষা পরিবেশ বজায় রেখেছে। এখানকার অনেক শিক্ষক ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বিশ্বের উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার প্রভাবশালী ক্ষেত্রসমূহ হলোঃ দুগ্ধ, হাঁস-মুরগী, মৎস্য, মাঠ ফসল, উদ্যানতত্ব, কৃষি অর্থনীতি, কৃষি বিপণন, জেন্ডার স্টাডিজ, কৃষিব্যবসা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন। বাংলাদেশের ১৫০টিরও বেশি সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থান অধিকার করা এই বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে দক্ষ পেশাজীবি সরবরাহ করে এবং জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তা করছে খ্যাতনামা আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, যেমনঃ ইউএসএআইডি, বিশ্বব্যাংক, ইউএসডিএ, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ, ডিএফআইডি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ড্যানিডা, ইউকেএইড, এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী সংস্থা, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক গবেষনা প্রতিষ্ঠান এবং দেশী-বিদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শক্তিশালী পার্টনারশীপ গড়ে তুলছে। যোগাযোগ: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ই-মেইলঃ [email protected] / [email protected]"

ওয়েবসাইট ইউটিউব ফেসবুক টুইটার
Far Western University (FWU)

নেপালের সুদূর পশ্চিম প্রদেশের কাঞ্চনপুর জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র মহেন্দ্রনগরে অবস্থিত ফার-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালে এটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকলস্তরের শিক্ষার্থীর জন্য সহজলভ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা অন্তভুক্তঃ মানবিক, ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, কৃষি, শিক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, এবং বনবিদ্যা। শিক্ষা ও গবেষণায় উৎকর্ষতা অর্জনের পাশাপাশি, ফার-ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গবেষণা, উদ্ভাবন এবং কমিনিউটির সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এটি নেপালের উচ্চশিক্ষা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।

ওয়েবসাইট ফেসবুক
Sher-e-Bangla Agricultural University (SAU)

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষার ইতিহাসে এক অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৩৮ সালে বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট হিসেবে যাত্রা করে এবং ২০০১ সালে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়ে বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় গ্রামীণ কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি শহরে কৃষির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি অনুষদ রয়েছেঃ ১) কৃষি, ২) কৃষিব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা, ৩) প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন, এবং ৪) মৎস্য, জলজ প্রাণি ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান। এছাড়া রয়েছে দুটি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটঃ সীড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট ও ফুড সেফটি ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক মাস্টার্স পোগ্রাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩,৫০০ শিক্ষার্থী ও ৩৮০ শিক্ষক নিয়োজিত, যারা দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরী করছে এবং কৃষি সহ অন্যান্য খাতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। শিক্ষা, গবেষণা এবং সমাজসেবায় সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষা ও কৃষিক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছে।

ওয়েবসাইট ফেসবুক
Pokhara University (PU)

"পোখরা বিশ্ববিদ্যালয় (PU) ১৯৯৭ সালে নেপাল সরকার একটি স্বায়ত্তশাসিত অলাভজনক স্বায়ত্তশাসিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। ৩৯,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে, PU শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকে নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। চারটি অনুষদের অধীনে ৬৫টি বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (HEI) ৭০টিরও বেশি প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়, যথা ১) স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, ২) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ৩) ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন এবং ৪) মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান। ৬৫টি HEI-এর মধ্যে, চারটি হল উপাদান স্কুল, যথা ১) স্বাস্থ্য ও সহযোগী বিজ্ঞান স্কুল, ২) প্রকৌশল স্কুল, ৩) উন্নয়ন ও সামাজিক প্রকৌশল স্কুল, এবং ৪) ব্যবসা স্কুল) যা সরাসরি PU দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বাকিগুলি PU অনুমোদিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান যা ব্যক্তিগতভাবে বা সম্প্রদায় দ্বারা পরিচালিত হয়। চারটি উপাদান স্কুলে চারটি অনুষদের প্রায় ৩,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। PU স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা এবং উন্নয়ন অধ্যয়নে বিভিন্ন স্নাতক এবং স্নাতক প্রোগ্রাম অফার করে। PU-এর স্নাতকদের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে উচ্চ হারে পড়াশোনা করার হার রয়েছে। কর্মসংস্থানযোগ্যতা। PU উচ্চশিক্ষার জন্য উৎকর্ষতার কেন্দ্র হয়ে ওঠার জন্য নিবেদিতপ্রাণ, শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উন্নত করে; বাজারমুখী, দায়িত্বশীল, উৎপাদনশীল, সেবামুখী এবং নিবেদিতপ্রাণ মানবসম্পদ তৈরি করে জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য; এবং বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাকে জাতীয় উন্নয়ন পরিষেবার সাথে সংযুক্ত করার জন্য। PU এশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং উত্তর আমেরিকা জুড়ে 60 টিরও বেশি জাতীয় এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষর করেছে। পোখরা বিশ্ববিদ্যালয় Erasmus+ প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত, যার মধ্যে অনেকগুলি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।"

ওয়েবসাইট ফেসবুক
Faculty of Law and Criminology of Vrije Universiteit Brussel (VUB)

বেলজিয়ামের ফ্রি ইউনিভার্সিটি ব্রাসেলস (ভিইউবি) এর আইন ও অপরাধবিজ্ঞান অনুষদে অবস্থিত স্বাস্থ্য ও বার্ধক্য আইন গবেষেণাগার একটি আন্তঃবিভাগীয় গবেষেণা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। এই গবেষেণাগারটি মূলত স্বাস্থ্যসেবা খাতে তথ্য সুরক্ষা এবং তথ্য অধিকার সম্পর্কিত আইন ও বিধিমালা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে। এছাড়াও এটি স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ডাটা গভর্ন্যান্স, নীতি ও প্রবণতা বিশ্লেষণ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের আইনি ও নৈতিক দিক নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ওয়েবসাইট লিঙ্কডইন
University of Peloponnese

গ্রিসের ত্রিপোলতি অবস্থিত পেলোপনিস বিশ্ববিদ্যালয় ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি স্কুলের অধীনে ২২টি একাডেমিক বিভাগ রয়েছে, যেখানে প্রায় ২৫,০০০ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। পেলোপনিস অঞ্চলের প্রধান পাঁচটি শহরে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্কুলগুলো হলোঃ প্রকৌশল, কৃষি ও খাদ্য, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও প্রযুক্তি, ব্যবসা ও হিসাববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, মানবিক ও কলা, ফাইন আর্টস ও ক্রীড়া। বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল (আইএসসিইডি- ৬, ৭, ৮) পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে। এছাড়া বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনব্যাপি শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণার মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা কার্যক্রমে উৎসাহিত করে। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প যেমন হরাইজন ২০২০, ইরাসমাস+, ইন্টাররেগ, এবং জাতীয় কৌশলগত রেফারেন্স কাঠামোর কর্মসূচি সফলভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ওয়েবসাইট লিঙ্কডইন ফেসবুক
ReadLab Brussels

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত রিডল্যাব ব্রাসেলস একটি উন্নয়ন ও গবেষণা সংস্থা, যা মূলত বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে। শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে সংস্থাটি ইতোমধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দৃশ্যমান প্রভাব তৈরী করেছে। এছাড়াও অন্তর্ভূক্তিমূলক, সহজলভ্য ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলায় রিডল্যাব ব্রাসেলস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ওয়েবসাইট লিঙ্কডইন ফেসবুক
KMOP

গ্রিসের অন্যতম প্রাচীন বেসরকারী সমাজসেবামূলক সংস্থা কেএমওপি, ৪৫ বছর ধরে সমাজের অসহায় ও প্রান্তিক মানুষের জন্য সামাজিক সেবা ও উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে আসছে। সংস্থাটি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা বিশ্লেষণ ও গবেষণার মাধ্যমে সমাজকে বোঝার চেষ্টা করে এবং তার ভিত্তিতে উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরী করা মানুষকে শিক্ষিত ও সক্ষম করছে। কেএমওপি ন্যায়ভিত্তিক, উদ্ভাবনী, টেকসই ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জ্ঞান ও দক্ষতা গড়ে তুলতে কাজ করছে। সংস্থাটি সরাসরি সেবা, শিক্ষা কর্মসূচী, গবেষণা এবং নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজকে শক্তিশালী করতে সক্রিয়ভাবে ভুমিকা পালন করে। এর মূল লক্ষ্য হলোঃ সামাজিক নীতিনির্ধারণে অবদান রাখা এবং প্রকল্প পরিচালনা করা যা ব্যক্তিকল্যাণ, বৈষম্য হ্রাস, সামাজিক দুর্বলতা দূরীকরণ, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সমাজ গঠনে সহায়ক। শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে কেএমওপির ‘এডুকেশন হাব‘ এর মাধ্যমে ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক পোগ্রাম তৈরী করছে, যা মানুষকে সামাজিক পরিবেশে সফলভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে।

ওয়েবসাইট ফেসবুক লিঙ্কডইন ইনস্টাগ্রাম টুইটার
Kathmandu University (KU)

নেপালের ধুলিখেলে অবস্থিত কাঠমান্ডূ বিশ্ববিদ্যালয় একটি শীর্ষস্থানীয় স্বায়ত্বশাসিত ও অলাভজনক সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষাদান, শিক্ষাগ্রহণ ও গবেষণায় উৎকর্ষের মাধ্যমে নেতৃত্বদানকারী মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সাতটি স্কুলের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্কুলগুলো হলো: ১) আর্টস, ২) শিক্ষা, ৩) প্রকৌশল, ৪) আইন, ৫) ব্যবস্থাপনা, ৬) চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং ৭) বিজ্ঞান। উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন এবং কমিউনিটির সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততার উপর গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পরিবেশে একটি শক্তিশালী শিক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এছাড়া গবেষণা পরিবেশএবং বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পার্টনারশীপ কাঠমান্ডূ বিশ্ববিদ্যালয়কে দক্ষিণ এশিয়ায় উচ্চশিক্ষার একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ফেসবুক লিঙ্কডইন ওয়েবসাইট